How to start e-commerce

ই কমার্স কীভাবে শুরু করা উচিত

বর্তমানের এই যুগে ইকর্মাস ছাড়া একটা দিনও আসলে কল্পনা করা যায় না। বিশ্বের বহু মানুষ ই কমার্সের মাধ্যমে সফলতার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। বড় বড় ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন বিশ্ববাজারে জমজমাট ব্যবসা করছে। অনলাইন নির্ভর এই যুগে আপনিও চাইলে এমন একটি ই কমার্স ব্যবসা শুরু করে নির্ভরযোগ্য আয়ের পথ তৈরি করে নিতে পারেন।

এর জন্য আগে জানতে হবে, কীভাবে আপনি ই কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন। আমি মো ফারুক খান, আজকের আর্টিকেলে সে বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য কীভাবে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে সহজ ভাষায় বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের লেখায়।

চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

অনলাইন বাজার পর্যবেক্ষণ

ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে অতি অবশ্যই অনলাইন বাজার পর্যবেক্ষণ করে নেয়া খুবই জরুরি। যেহেতু, ডিজিটাল বিশ্বে এখন প্রচুর ই কমার্স বিজনেস প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই বাজার পর্যবেক্ষণের কাজটি যতো ভালোভাবে করে নেবেন, ই কমার্স ব্যবসা সফল করার জন্য তা ততো বেশি কার্যকরী হবে। বাজার পর্যবেক্ষণের ধাপগুলো নিম্নরুপ-

  • আপনি কী ধরনের পণ্য, কাদের কাছে বিক্রি করতে চান এবং কীভাবে তা ভোক্তার কাছে পাঠাতে পারবেন, সেসব আগে ঠিক করে নিন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকা, সেই এলাকায় ভোক্তার পণ্যের চাহিদা এবং মানসম্মত পণ্য আপনি কীভাবে সহজে পেতে পারেন, এসব বিষয় কিন্তু মাথায় রাখা উচিত। 
  • বাজার পর্যবেক্ষণের সময় আপনার প্রতিযোগীদের সক্ষমতা যাচাই করে নিন। বিক্রি করার জন্য আপনি যে পণ্য নির্ধারণ করবেন, সেই পণ্যের অন্য বিক্রেতাদের ব্যবসায়িক মডেল, তাদের টার্গেট কনজিউমার, তারা কোন সামাজিক মিডিয়া চ্যানেল ব্যবহার করে, তারা কীভাবে পণ্যের মার্কেটিং করে, তাদের জনবল সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে নিন। 

ই কমার্স ব্যবসা শুরুর আগেই ঠিকমতো বাজার পর্যবেক্ষণ করে, সঠিক দামে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন মানসম্মত পণ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারলে, সহজে আপনি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং প্রতিযোগীতামূলক ই মার্কেটে ব্যবসায় ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবেন।

মানসিক প্রস্তুতি এবং বাজেট নির্ধারণ

ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আর্থিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার,  তা হলো-

  • আপনি আসলেও এই ব্যবসা করতে চান কিনা, বা করলেও অনলাইনের সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক কার্যক্রম ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারবেন কিনা, কিংবা গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন কিনা, এসব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর ব্যবসা শুরু করা উচিত। কেননা, প্রতিযোগীতামূলক এই ব্যবসাতে অনেক চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত আসতে পারে, যেগুলো সামাল দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে নেয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার।  
  • এরপর ব্যবসার জন্য কী পরিমাণ টাকা লাগতে পারে, তার একটি খসড়া তৈরি করে, কখন, কোথায়, কীভাবে কত টাকা লাগতে পারে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট নির্ধারণ করে নিলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে যে, ব্যবসা করার জন্য আপনার কাছে সে পরিমাণ টাকা সে মুহূর্তে আছে কিনা। তাহলে, ব্যবসা শুরু করার পর যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবসার কাজের জন্য আপনি আর্থিক অসুবিধায় পড়বেন না। ব্যবসা শুরু করার সময় যে টাকার প্রয়োজন সেই বাজেট ঠিক করার পর, পরবর্তীতে ব্যবসার যেকোনো কাজের জন্য আলাদা বাজেট রাখুন এবং প্রতিদিনের আয় ব্যয়ের হিসাব রেখে বাজেট তৈরি করুন। তাতে ব্যবসার ক্ষেত্রে যেকোনোরকম আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে পারবেন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ডোমেইন হোস্টিং নির্বাচন 

এই কাজগুলো আপনাকে পর্যায়ক্রমে করতে হবে। ধাপগুলো হলো-

  • ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি নাম ঠিক করে নিন। এই নামই আসলে ব্যবসার মূল পরিচয়। এই নামেই সবাই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে চিনবে এবং জানবে। এক্ষেত্রে, পণ্যের সাথে মানানসই কোনো নাম, বা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে এমন কোনো সমসাময়িক নাম একটু ভেবে-চিন্তে নির্বাচন করা ভালো। তাতে, ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই এগিয়ে থাকবেন। 
  • আপনার ব্যবসার নামের সাথে মিলে, এমন একটি ডোমেইন নির্বাচন করে হোস্টিং প্রোভাইডার এর কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। এ কাজের জন্য আপনি ড্রিম হোস্ট (DreamHost), এক্সন হোস্ট (ExonHost) এর মতো হোস্টিং সার্ভার বেছে নিতে পারেন। হোস্টিং নেয়ার সময় আপনার গ্রাহকের সংখ্যা এবং আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন বা মাসের ট্রাফিক এর পরিমাণ কীরকম হতে পারে, সাইটের নিরাপত্তা ইত্যাদি কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন।  
  • এছাড়া, প্রতিষ্ঠানের নামে টেড লাইসেন্স, ট্রেড মার্ক, লোগো ইত্যাদি যাবতীয় যতো আইনি কাজ রয়েছে, সেগুলো করে নিলে ভবিষ্যতে এই নাম কেউ নকল করতে পারবে না।

ওয়েবসাইট তৈরি

আপনার ই কমার্স ব্যবসাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এর ওয়েবসাইট। এই সাইটের মাধ্যমেই আপনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এতে আপনার পণ্য এবং পণ্য সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় শোকেজ করা থাকবে। গ্রাহক এই সাইট ভিজিট করে পণ্য দেখে, পছন্দ করে কার্টে অ্যাড করে অর্ডার করবে। ই কমার্স ব্যবসা সফল করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উন্নত ওয়েবসাইটের কোনো বিকল্প নেই। 

ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে আপনার বাজেট এবং সক্ষমতা বুঝে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কেমন ওয়েবসাইট চান। যদি আপনার বাজেট কম থাকে এবং ব্যবসা তুলনামূলক ছোট হয়, তবে আপনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া, প্রয়োজন অনুযায়ি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে আপনি কোডিং এর মাধ্যমে কাস্টমাইজড, হাই স্পিড, ভালো সিকিউরিটি সম্পন্ন উন্নত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরির জনপ্রিয় কিছু CMS বা কনটেন্ট ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম হলো Magento, Woocommerce, Zencart ইত্যাদি। 

সুবিধামতো বাজেট অনুযায়ি CMS বেছে নিয়ে কোনো ওয়েবসাইট তৈরির প্রতিষ্ঠান বা ফ্রিল্যান্সার কে দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ই কমার্স ব্যবসার বাকি কাজগুলো একে একে করে নিতে হবে। কাজগুলো নীচে বিস্তারিত উল্লেখ করার চেষ্টা করছি।

১) মানসম্মত পণ্যের যোগান এবং শোকেজ

ই কমার্স ব্যবসা করতে, আপনি যে এক বা একাধিক পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কম দামে, কম পরিবহন খরচে কীভাবে আপনি তা সংগ্রহ করবেন সেটি খেয়াল রাখাও খুব জরুরি। তাই, এসব দিক মাথায় রেখে, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ি মানসম্মত পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করুন।

ওয়েবসাইটে পণ্যের হাই রেজুলেশন ছবির সাথে পণ্য সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এবং দাম শোকেজ করুন। সুন্দরভাবে সাজানো পণ্যের ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহক সহজে পণ্য পছন্দ করে কিনতে পারে, তাই পণ্য ঠিকমতো শোকেজ করতে পারলে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ে এবং ব্যবসা প্রসারের সুযোগ তৈরি হয়।

২) পণ্যের মার্কেটিং

ওয়েবসাইট তৈরি করে পণ্যের শোকেজ করলেই তো ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে না। আপনার বিক্রি করা পণ্যের চাহিদা আছে এমন গ্রাহকদেরকে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। আর এরজন্য পণ্যের মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং এর জন্য সবসময় আলাদা বাজেট রাখতে হবে। মার্কেটিং করলেই আপনার পণ্যের গুণগত মান, দাম ইত্যাদি সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে পারবেন। এতে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরি হবে।

ই কমার্স ব্যবসায় দুইভাবে মার্কেটিং করা যেতে পারে। অনলাইনে এবং অফলাইনে।

অনলাইন মার্কেটিং

ই কমার্স ব্যবসায় অনলাইন মার্কেটিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন মার্কেটিং আবার দুইভাবে করা যায়। পেইড মার্কেটিং এবং ফ্রি মার্কেটিং। আপনার বাজেটের হিসেবে আপনাকে মার্কেটিং এর পরিকল্পনা করে নিতে হবে। 

ভালো বাজেট থাকলে অনলাইনে পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কথা মাথায় রেখে, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পেইড বিজ্ঞাপন দেয়া যেতে পারে। এছাড়া, পেইজ প্রমোট করা, কোনো পোস্ট বুস্ট করতে গেলেও ডলারে পেমেন্ট করতে হবে।

আর ফেইসবুক, ইউটিউব এর মতো একই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ফ্রি ভিডিও মার্কেটিং করা ছাড়াও ইমেইল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং করা যেতে পারে। এছাড়াও, পণ্য সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখে আপনার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেও মার্কেটিং করা যাবে। ঠিকমতো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনুসরণ করে আর্টিকেলগুলো লিখলে গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইট প্রথমদিকে আসবে, এতে আপনার পণ্যের চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহক পেতে সুবিধা হবে।

অফলাইন মার্কেটিং

শুধু অনলাইন মার্কেটিং করে থেমে গেলে চলবে না। নতুন ই কমার্স ব্যবসা শুরুর পর ভালোভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিতে অফলাইন মার্কেটিং করলেও আপনি উপকৃত হবেন। এক্ষেত্রে, পোস্টারিং বা লিফলেট বিতরণ করেও নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে আপনি পণ্যের বিপণন চালিয়ে যেতে পারেন।

৩) পণ্যের ডেলিভারি এবং পেমেন্ট পদ্ধতি ঠিক করা

ই কমার্স ব্যবসাতে গ্রাহকের কাছে ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো প্যাকেজিংয়ে অক্ষত পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পরিচালনার ব্যবস্থা করতেই হবে। এখন, অনেক ই কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে, যারা সুন্দরভাবে অনলাইন পণ্য ডেলিভারি করে। তাদের ট্র‍্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি এবং গ্রাহক, পণ্য কখন, কোথায় আছে তা ট্র‍্যাকও করতে পারবেন। পণ্য ডেলিভারির জন্য এরকম ই কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। 

এছাড়া, গ্রাহক পণ্য কিনে যাতে সহজে পেমেন্ট করতে পারে, এজন্য আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাংক কিংবা বিকাশ, নগদের মতো কোনো মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা যেমন রাখতে হবে, তেমনি, গ্রাহকের সুবিধামতো ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থাও থাকতে হবে। ই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্য ডেলিভারির পর, ক্যাশ রিসিভ হওয়ার দুই থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে আপনি ব্যাংক বা অন্যান্য মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা পেয়ে যাবেন।

৪) টিম ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস 

আপনার অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে, ব্যবসার পরিধি বিবেচনায় জনবলের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে, দক্ষ কর্মী নিয়োগ করলেই ব্যবসায়িক কাজ সুনিপুণ হবে। কাজ শুরু করার আগেই আপনার নিয়োগ করা কর্মীদের যথাযথ ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুত করে নিলে, ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলো ঠিকঠাকভাবে পালন করতে বেগ পেতে হবে না।

এসব কর্মীদের দিয়েই সুন্দর কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করে নেয়া যাবে, যা ব্যবসায় সফলতার পথ সুগম করবে। গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্টের ব্যবস্থা করুন। পণ্য কেনার আগে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী যেমন সাপোর্ট দিতে হবে, আবার, পণ্য কেনার পরও পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকের ফিডব্যাক জানার চেষ্টা করতে হবে। গ্রাহকদের প্রোডাক্ট রিলেটেড কোনো সমস্যা থাকলে, তা সমাধানের জন্য পণ্য বদলে নেয়া বা পেমেন্ট রিফান্ডের মতো ব্যবস্থা ওয়েবসাইটে রাখা উচিত। আপনি ভালো কাস্টমার সার্ভিস দিতে পারলেই, গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সময় লাগবে না, যা ই কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কেননা, গ্রাহকই ব্যবসার প্রাণশক্তি।    

শেষকথা

এই ছোট পরিসরে, ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য দরকারি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের আমি যতোটুকু সম্ভব ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি, কেউ ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই আর্টিকেলটি তাদের কাজে আসবে। মনে রাখবেন, ই কমার্স ব্যবসা শুরুর সাথে সাথেই আপনি অনেক পণ্য বিক্রি করে রাতারাতি সফল হয়ে যাবেন, তা কিন্তু নয়। অন্ততপক্ষে এক বছরের একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করে নিয়ে ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হবে। এই এক বছরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলো এক এক করে সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই ই কমার্স ব্যবসাতে আপনি সফলতার দেখা অবশ্যই পাবেন। 

লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আর, আপনার এ বিষয় সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে, আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করবো সঠিক উত্তরটি দেয়ার। 

সবাই ভালো থাকবেন, খুব শীঘ্রই ফিরে আসছি অন্য কোনো নতুন টপিক নিয়ে, ইনশাআল্লাহ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *